হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। জবাবে ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বিপু জামিন আবেদন করেন।
এর আগে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের আগে ব্যারিস্টার সুমন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লেখেন, "আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। আদালতে দেখা হবে। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।"
গত ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন সুমন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫ অগাস্ট প্রথম মামলা হয় ঢাকার আদালতে। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২০০ শর বেশি মামলা হয়েছে।
অধিকাংশ মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনারসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ব্যাপক হারে হত্যা মামলা এবং তার ভিত্তিতে গ্রেফতার ও পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা নিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিক মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর আশ্বাস দেন যে, প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না।