শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) তিন নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন তারেক রহমানের /সোহাগের প্রকৃত হত্যাকারীকে এখনো কেন গ্রেফতার করেনি সরকার
এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ঘটনার সাথে জড়িত তারেক রহমান রবিনকেও গ্রেফতার করে। একইসাথে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পাওয়া গেছে যা পুলিশি তদন্তের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তথাপি ওই ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নানা ধরনের অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনরূপ অপতথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা যে দল বা মতের লোকই হোক না তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
]]>