বৈঠক শেষে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)

১ সপ্তাহে আগে
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এতে রয়েছে সব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

আমরা যখনই কোনো বৈঠক বা সভা করি, সভা বা বৈঠক শেষে নবীজির শেখানো দোয়া পড়া উচিত। এ দোয়া বৈঠকের ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার পয়গাম নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হয়। বৈঠকের কাফফারা হয়, এমন দোয়াও রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছেন।

 

رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الغَفُورُ (উচ্চারণ: রব্বিগফির লী ওয়াতুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত্ তাউওয়া-বুল গাফূর।) 

 

অর্থ: হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে মাফ করুন এবং তাওবাহ কবুল করুন; নিশ্চয় আপনিই তওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল।

 

মজলিসের কাফফারার দোয়া

 

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ (উচ্চারণ: সুবহাানাল্লাাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহাানা কাল্লাাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লাা ইলাাহা ইল্লাা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।)

 

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং প্রশংসা ব্যক্ত করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া অন্য কোন মা‘বুদ নেই, আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং আপনার দিকেই ধাবিত হচ্ছি।

 

আরও পড়ুন: মাহফিলে মাইকগুলো প্যান্ডেলের ভেতরেই রাখুন: আজহারী

 

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বৈঠক থেকে ওঠার আগে বেশিরভাগ সময়ই এ দোয়াটি পড়তেন,

 

اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُولُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيْبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا

 

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-কসিম লানা মিন খাশ্ইয়াতিকা মা তাহূলু বিহী বাইনানা ওয়া বাইনা মাআসীকা ওয়া মিন্ ত্বাআতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাকা ওয়ামিনাল ইয়াক্বীনি মা তুহাওয়িনু বিহী আলায়না মুসীবাতিদ্ দুন্ইয়া ওয়া মাত্তি’না বিআসমাইনা ওয়া আবসারিনা ওয়া ক্যুওয়াতিনা মা আহ্ইয়াইতানা ওয়াজ্আলহুল ওয়ারিসা মিন্না ওয়াজ্আল সা’রানা আলা মান্ যালামনা ওয়ানসুরনা আলা মান আদানা ওয়ালা তাজ্আল মুসীবাতানা ফী দীনিনা ওয়ালা তাজ্আলিদ্ দুন্ইয়া আকবারা হাম্মিনা ওয়ালা মাব্‌লাগা ইলমিনা ওয়ালা তুসাল্লিত্ব আলায়না মান্ লা ইয়ার্‌হামুনা। 

 

আরও পড়ুন: ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ


অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যে আপনার ওই পরিমাণ ভীতি সঞ্চার করুন যা দিয়ে আপনি আমাদের মাঝে ও আপনার নাফরমানীর মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন। আপনার ওই পরিমাণ ইবাদত-আনুগত্য আমাদের দান করুন, যা দিয়ে আপনি আমাদের আপনার জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং আপনার ওপর ওই পরিমাণ ঈমান দান করুন যা দিয়ে আপনি দুনিয়ার বিপদাপদ সহজ করে দেবেন। হে আল্লাহ! আমাদের উপকার সাধন করুন আমাদের কানের মাধ্যমে, আমাদের চোখের মাধ্যমে ও আমাদের শক্তির মাধ্যমে, যতদিন আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের উত্তরাধিকারী জারী রাখুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের প্রতিশোধ-প্রতিরোধকে সীমাবদ্ধ রাখুন তাদের ওপর যারা আমাদের ওপর জুলুম করেছে এবং আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করুন তাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে। হে আল্লাহ! আমাদের দীন সম্পর্কে আমাদের কোন বিপদে ফেলবেন না এবং দুনিয়াকে আমাদের মৌলিক চিন্তার বিষয় ও জ্ঞানের পরিসীমা করবেন না। হে আল্লাহ! যারা আমাদের ওপর দয়া প্রদর্শন করবে না, তাদেরকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। (তিরমিজি: ৩৫০২)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন