বেশিরভাগ মানুষ যে ২ কারণে জাহান্নামে যাবে

১ দিন আগে
জাহান্নামও আরবি শব্দ। এর অর্থ গভীর গর্ত। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহ আখিরাতে অবিশ্বাসী ও পাপীদের শাস্তির জন্য যে অগ্নিময় আবাস তৈরি করে রেখেছেন, তাকে জাহান্নাম বলা হয়। এটাকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ‘নার’ বলা হয়েছে।

পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে মহান আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। যারা মহান আল্লাহকে যথাযথভাবে মানবে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। অন্যথায় মিলবে জাহান্নামের কঠোর শাস্তি।

 

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির সামনে তার মূল বাসস্থানকে তুলে ধরা হবে। সে যদি জান্নাতি হয় তবে জান্নাতের বাসস্থান পাবে আর যদি সে জাহান্নামি হয় তবে জাহান্নামের বাসস্থান পাবে। পরে বলা হবে, এই তোমার স্থান। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তোমাকে কেয়ামতের দিন উত্থিত করবেন। (তিরমিজি: ১০৭২)

 

আরও পড়ুন: আয়েশা (রা.) ছিলেন জ্ঞানের ভাণ্ডার


তবে দুটি কাজ রয়েছে যার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে একবার প্রশ্ন করা হলো, 

 

কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। জবাবে রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, আল্লাহভীতি, সদাচার ও উত্তম চরিত্র। পরে আবারও নবীজিকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। জবাবে রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, মুখ ও লজ্জাস্থান। অর্থাৎ, এই দুই অঙ্গের মাধ্যমে কৃত গুনাহের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যাবে। (তিরমিজি ২০০৪)

 

আরেক হাদিসে এসেছে, সাহল ইবনে সাদ (রা.) বর্ণনা করেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার (সন্তুষ্টির) জন্য তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের বস্তুর (লজ্জাস্থান) হেফাজত করবে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করি। (বুখারি ৬০৩০)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন