বেনাপোল কাস্টমস: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৭ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

২ সপ্তাহ আগে
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস। এমন রেকর্ড গড়ার পেছনে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা, বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পণ্য খালাস জটিলতা কাটাতে পারলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।

ভারত-বাংলাদেশ স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এই বন্দর দিয়েই বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটির টাকার পণ্য রফতানি হয়। দ্বিপাক্ষিক এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিপুল রাজস্ব পায় সরকার।

 

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস থেকে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় এনবিআর। অথচ বছর শেষে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা বেশি।

 

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে রেকর্ড হ্যান্ডলিং, তবুও কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি

 

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যার কারণে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।

 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এ পথে রাজস্ব আয় বেড়েছে। বিশেষ করে পদ্মাসেতুর সুফল পাচ্ছে বন্দর।

 

বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য, গত অর্থবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২ মেট্রিক টন পণ্য। কাস্টমস থেকে দ্রুত পণ্য খালাসে এখনও যেমন রয়ে গেছে নানান জটিলতা। তেমনি প্রায়ই শুল্কফাঁকি দেয়ার ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের।

 

আরও পড়ুন: ব্যাগেজ রুলসে যেসব সংশোধনী এলো

 

সাধারণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি কমায় রাজস্ব আয় বেড়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও বাড়লে, রাজস্ব আয়ও আরও বাড়বে।

 

আমদানিকারক ইদ্রিস আলী,  দ্রুত পণ্য খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এতে ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি আগ্রহী হবে। ফলে রাজস্ব আরও বাড়বে।

 

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল বেনাপোল কাস্টমস হাউস।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন