এছাড়াও জোয়ারের পানির চাপে বেতাগী উপজেলা মোকামিয়া ইউনিয়নের বিষখালী নদী তীরবর্তী ছোট মূল্লা বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
সরেজমিনে বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের উত্তর ডালভাঙ্গা নামক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার রিং বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পেলে আবারও এসব এলাকার ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মূল বেড়িবাঁধের ভেতরের অংশের বাসিন্দারা নিরাপদে রয়েছেন।
মালেক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘গতকাল বাঁধ ভেঙে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এখন আবারও জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকবো সে ব্যবস্থা আমাদের নেই।’
আরও পড়ুন: বরিশালে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
ছালাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরে থাকারমত কোনো পরিবেশ নেই। ঘরে মধ্যে এখন রান্না করে খাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আমরা দিন আনি দিন খাই, অন্য কোথাও জমি কিনে থাকার সামর্থ্যও নেই।’
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদীর পানি, ফেনীসহ দেশের ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘যে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে তা মূল বেড়িবাঁধ নয়। নদী সংলগ্ন রিং বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যে সব বাসিন্দাদের ঘরে পানি প্রবেশ করেছে তারা মূল বেড়িবাঁধের বাইরের বসবাস করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। পানি প্রবেশের কারণে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
]]>