অনেকে জানতে চান, বুযুর্গদের কবর কি পাকা করা যাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, হাদিসের নির্দেশ মতে কারও কবরই পাকা করা জায়েজ নেই। কবর পাকা করতে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কার ভাষায় নিষেধ করেছেন। সুতরাং বুযুর্গ হোক বা সাধারণ মুসলমান, কারও জন্যই কবর পাকা করা জায়েজ নয়। নিষিদ্ধ। এটাই সর্বসম্মত ফতোয়া।
আরও পড়ুন: পুনর্গঠিত হলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস
তবে যদি কোন বড় ব্যক্তি যার ভক্ত/ছাত্র ইত্যাদি দেশজুড়ে বা বিশ্বজুড়ে থাকে। যার কবর যিয়ারতে মানুষ অনেক আসার সম্ভাবনা থাকে, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোন কিছু দিয়ে কবরের চিহ্ন রাখা জায়েজ আছে। এর মানে পাকা করা নয়। কেবল চিহ্ন রাখতে কবরের এক পাশে প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি লিখে রাখা, বা কোন কিছু দিয়ে নির্দিষ্ট করে রাখার সুযোগ আছে। সাধারণ কারো জন্য এটা করাও নিষেধ।
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ، وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ
অর্থ: হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের উপর চুনা লাগানো, তার উপর বসা, কবরের উপর গৃহনির্মাণ বা পাকা করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৯৭০)
আরেক হাদিসে আবুল হাইয়াজ আসাদি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘একবার হজরত আলি (রা.) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে সেই কাজে পাঠাব না, যে কাজে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? ওই কাজ এই যে, কোনো মূর্তি দেখলে তা নষ্ট করে ফেলবে, আর কোনো উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দেবে।’ (মুসলিম ৯৬৯)
ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) তার সংকলিত কিতাবুল আসারে উল্লেখ করেছেন-
আরও পড়ুন: সন্তানকে যে কারণে আদব শিক্ষা দেবেন
আমরা কবরকে চুনকাম করা, পাকা করা, অথবা তার নিকটে মসজিদ নির্মাণ করা, ঝান্ডা টানানো, কোন কিছু লেখা মাকরূহ মনে করি। এবং আমরা কবরকে ইট দ্বারা পাকা করা, কবরে প্রবেশ করাকে মাকরূহ মনে করি। তবে কবরে পানি ছিটিয়ে দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রহ.)-এর বক্তব্য। (কিতাবুল আসার লিমুহাম্মদ: ২/১৯১)
]]>