বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পার্থকে পুলিশি হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও আহত শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, পার্থ ও মেয়েটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। মেয়েটি বর্তমানে একটি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। বিকেলে মেয়েটি তার ভাবিকে নিয়ে শহরের হাছননগর এলাকার একটি দোকানে কেনাকাটা করতে আসে। একপর্যায়ে পার্থ তাকে ডেকে নিয়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: চুরি করতে গিয়ে আটক ছাত্রলীগ নেতা!
এক পর্যায়ে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পার্থকে শহরে ধোপাখালী শ্মশানঘাট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে।
মেয়েটির এক স্বজন জানান, শাবিপ্রবির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ মেয়েটিকে হুমকি-ধামকি দিত। তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার পূর্ব পরিচিত ও প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে। মেয়েটির বিয়ের খবর শুনে পার্থ তাকে হুমকি দিতে থাকে। হুমকির বিষয়টি পার্থর পরিবারকে জানানো হলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটিকে অনুসরন করে সে শহরের হাছননগর এলাকার মার্কেটে আসে। একপর্যায়ে ডেকে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ১০টি আঘাত করে। তার মধ্যে ৮টি গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালী গ্রামে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সে সিলেটে আত্মগোপনে ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে সে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে চলে আসে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মনিবুর রহমান বলেন, ছেলে ও মেয়ে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ছিলো। এরই সূত্রে ধরে পার্থ আজ মেয়েটিকে শহরের হাছননগর এলাকায় ডেকে নিয়ে ছুরিঘাত করে আহত করে। তিনি পালিয়ে শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাটে আত্মগোপন করে নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পার্থকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ কর্মীর দোকানে পাওয়া গেল ককটেল আর ধারালো অস্ত্র
পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পার্থ ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পার্থ বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে।
মেয়েটি সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
]]>