বিয়ের মাধ্যমে মানুষ নবজীবনে প্রবেশ করে। জীবনে প্রভূত কল্যাণসাধন হয়। বিয়ে রহমত ও বরকত ও রিজিক বাড়ার কারণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করেনি, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর ৩২)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবু বকর (রা.) তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দিয়ে বলতেন, ‘তোমরা বিয়ে করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করো। তিনি তোমাদের দেয়া অঙ্গীকারও পালন করবেন।’ (তাফসিরে ইবনে আবি হাতেম ৮/২৫৮২)
আরও পড়ুন: যে নবীর মেয়েকে বিয়ে করেন মুসা (আ.)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,
তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা মহান আল্লাহর কর্তব্য। প্রথমজন হলেন আল্লাহর পথে জিহাদ পালনকারী। তারপর মুক্তিপণ আদায়ে কাজ করা চুক্তিবদ্ধ দাস এবং পবিত্র জীবনের লক্ষ্যে বিবাহকারী।’ (তিরমিজি ১৬৫৫)
এছাড়া হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, ‘তোমরা বিয়ের মধ্যে প্রাচুর্য অনুসন্ধান করো। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তারা দরিদ্র হয়, নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে প্রাচুর্য দান করবেন’ (সুরা নুর ৩২, তাফসিরে ইবনে কাসির, তিরমিজি ১০৬১)
সুতরাং কেউ যদি অল্প সামর্থ্য নিয়ে বিয়ে করার নিয়ত করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদের সচ্ছলতা দিবেন ইনশাআল্লাহ।
অভিভাবকদেরও উচিত নয় নিজের ছেলের অথবা নিজ কন্যার জন্য নির্বাচিত পাত্রের সাময়িক অভাবকে বিয়ে করার প্রতিবন্ধক মনে করা। যদি তারা উপার্জনে সক্ষম এবং পরিবার পরিচালনার সামর্থ্য রাখে তাহলে তাদের জীবনোপকরণ দিয়ে সংসার শুরু করতে সাহায্য করা উচিত এবং বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত। (বয়ানুল কুরআন)।
তবে যদি কেউ বিয়ে করতে সমর্থ না হয় তাহলে তার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী, প্রবৃত্তিকে অধিক দমনকারী’ (বুখারি ১৯০৫)।
আরও পড়ুন: ইসলামে বিয়ে পড়ানোর সঠিক নিয়ম
কোনো মুসলমানের উচিত নয় বিয়ে না করার পণ করা। কেননা রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। আর যে আমার সুন্নত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজা ১৮৪৬)
]]>