এর আগে এই মামলার বিচার কার্যক্রম বকশীবাজারে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক হলেন মো. ইব্রাহিম মিয়া এবং পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বোরহান উদ্দিন।
৫ আগস্টের পর আদালতের অবকাঠামো তছনছ করা হয়। এরপর গত ৮ জানুয়ারি অস্থায়ী আদালতের কক্ষ কে বা কারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পরে আইন মন্ত্রণালয় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালত ভবনকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মামলার শুনানি বার বার পেছানো বড় ষড়যন্ত্রের অংশ: মাহিন
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।
জামিন শুনানি ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন ৪০০ বিডিআর সদস্যের পরিবার। আদালত নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় দ্রুত বিস্ফোরক মামলার সুরাহা হবে বলে মনে করছেন মামলা সংশ্লিষ্টরা।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ঘটনার সময় পিলখানাতে না থেকেও আসামি হয়েছেন অনেকে। আবার ছুটি থাকায় গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নাম ঢোকানো হয় আসামির তালিকায়। বিস্ফোরক আইনের মামলায় দেড় দশক বন্দি থেকে জীবনের সবই হারিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সুবিচার নিশ্চিত করতে আন্তরিক অন্তর্বর্তী সরকার।
]]>