বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ২০৪ নম্বর খেলোয়াড় ভ্যালেন্তিন ভাশেরোর কাছে হেরে সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন পঞ্চম স্থানে থাকা নোভাক জকোভিচ। মোনাকোর ২৬ বছর বয়সী ভাশেরো সরাসরি সেটে ৬-৩, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন।
ভাশেরো তার প্রথম সার্ভে ৭৮ শতাংশ (৩৬-এর মধ্যে ২৮টি) পয়েন্ট জিতেছেন, যা জোকোভিচকে ভীষণ সমস্যায় ফেলে দেয়। পিঠের চোটের কারণে ম্যাচ চলাকালীন দু’বার চিকিৎসা নিতে হয়েছিল ৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচকে। এই জয়ের মাধ্যমে ভাশেরো ইতিহাস গড়েছেন। প্রথমবার কোনো এত নিম্ন র্যাঙ্কধারী খেলোয়াড় কোনো এটিপি মাস্টার্স ১০০০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন।
ম্যাচ শেষে ভাশেরো বলেন, 'আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না কী হয়েছে, তাই কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। এটা একেবারেই পাগল করা অনুভূতি। প্রথমত, নোভাকের বিপরীতে কোর্টে নামাটাই ছিল অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। আমি এই ম্যাচ থেকে, তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। নিজের কাছ থেকেও আরও অনেক কিছু শেখার আছে।'
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে জায়গা হয়নি আগের ৬ জনের
তিনি আরও যোগ করেন, 'যখন ঘোষকরা জোকোভিচের নাম ঘোষণা করছিলেন এবং তার চারবারের শিরোপা জয় তুলে ধরছিলেন, তখনই আমি খানিকটা হারিয়ে গিয়েছিলাম। এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের পুরো সময়টাই ছিল আনন্দে ভরা, যদিও খুব বেশি লোক চাইছিল না আমি যেন জিতি! ও এখানে খুবই জনপ্রিয়। তার চারটা শিরোপা আছে এখানে। আমি হয়তো আজ রাতে জয়টা উপভোগ করব, তারপর কালকের ফাইনাল নিয়ে ভাবব।'

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে ভাশেরো ডেনমার্কের হোলগার রুনেকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০–তে প্রবেশ নিশ্চিত করেছিলেন। ফাইনালে উঠেই তার র্যাঙ্ক এখন নিশ্চিতভাবে ৫৮ নম্বরে উঠে গেছে।
ফাইনালে ভাশেরো মুখোমুখি হবেন নিজের কাজিন আর্থার রিন্দারকনেশের। রিন্দারকনেশ অন্য সেমিফাইনালে রাশিয়ার দানিয়েল মেদভেদেভকে ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।