গত সোমবার (৯ জুন) পিউ রিসার্চের ‘গ্লোবাল রিলিজিয়াস ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে এই প্রবৃদ্ধি মূলত প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফল। বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ধর্মান্তরের ভূমিকা খুবই সামান্য।
২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত-এই এক দশকের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মুসলিমদের সন্তানের সংখ্যা অন্য সব বড় ধর্মের অনুসারীদের তুলনায় বেশি এবং মুসলিমরা তুলনামূলকভাবে কম বয়সি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গড়ে একজন মুসলিম নারী ২ দশমিক ৯টি সন্তান জন্ম দেন। যেখানে একজন অমুসলিম নারীর গড় সন্তান সংখ্যা ২ দশমিক ২।
আরও পড়ুন: বিশ্বের মুসলিমশূন্য দেশ
গবেষণায় ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ধর্মীয় অনুপাতে কী পরিবর্তন এসেছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, খ্রিষ্টধর্ম এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্ম। বিশ্বের প্রায় ২৩০ কোটি মানুষ এই ধর্মের অনুসারী। তবে ইসলাম ও খ্রিষ্টধর্মের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন কমছে।
গবেষণার তথ্যমতে, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতেই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে কাজাখস্তান, বেনিন ও লেবাননে। অন্যদিকে ওমান ও তানজানিয়ায় মুসলিমদের সংখ্যা অনুপাত কমে গেছে।
পিউয়ের প্রধান গবেষক কনরাড হ্যাকেট বলেন, ‘মাত্র দশ বছরে এত বড় পরিবর্তন খুবই বিস্ময়কর। মুসলিম ও খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী এখন আকারে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: এই ১০ দেশের মানুষ বেশি দিন বাঁচে কেন জানেন?
তিনি আরও জানান, ধর্মত্যাগ বা ‘ডিসঅ্যাফিলিয়েশন’-এর হারও এতে ভূমিকা রেখেছে। খ্রিষ্টধর্মে ধর্মত্যাগের হার তুলনামূলক বেশি।বিশ্বব্যাপী গড়ে যেখানে একজন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন, তার বিপরীতে তিনজন খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করছেন।’
পিউয়ের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইসলামই হবে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম। যদিও এই পরিবর্তন নির্ভর করছে আগামী বছরগুলোতে জনসংখ্যা, বয়স এবং ধর্মান্তরের প্রবণতার ওপর।
]]>