যৌথ চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা, রাশিয়ান রাজনৈতিক বন্দিরা সমস্ত আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে আবেদন করছি, যেসব মানুষ তাদের বিশ্বাস বা মূল্যবোধের জন্য নির্যাতনের শিকার হন, তাদের কথা ভাবেন বা গুরুত্ব দেন।’
এতে আরও বলা হয়, আমাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০,০০০ জন - রাশিয়ান রাজনৈতিক বন্দি এবং ইউক্রেনীয় বেসামরিক জিম্মি আছেন। আমাদের সবাইকে একটি কারণের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে। তা হলো জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়া।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় আজ ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ধারণা অনুপস্থিত। কেউ যদি সমালোচনা করার সাহস দেখায় তবে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
এছাড়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে যেকোনো ভিন্নমত দূর করার লক্ষ্যে দমনমূলক আইন ধারাবাহিকভাবে কঠোর করা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, কমপক্ষে ৫০টি দমনমূলক আইন গৃহীত হয়েছে, এবং ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে এখন পর্যন্ত আরও ৬০টিরও বেশি।
আধুনিক রাশিয়ায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর না থাকায় বন্দিদের স্বাস্থ্য এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং চাপ প্রয়োগ হলে তার তদন্ত বা শাস্তি হয় না। রাজনৈতিক বন্দিদের অন্যদের তুলনায় প্রায়শই, কঠোর পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয় এবং প্যারোল থেকে বঞ্চিত করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে।
জানানো হয়, কিন্তু এত কিছুর পরেও, ‘আমরা আমাদের কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলিনি, আমরা আমাদের নাগরিক অবস্থান ধরে রেখেছি।’
চিঠিতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার প্র্রেক্ষিতে যুদ্ধবন্দি এবং বেসামরিক নাগরিকদের অবিলম্বে বিনিময় করার আহ্বান জানানো হয়। যার মধ্যে ইউক্রেনীয় বেসামরিক জিম্মিরাও অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন একদিনে ১ হাজার ২৩৫ জনেরও বেশি সেনা হারিয়েছে, দাবি রাশিয়ার
এখানে রাশিয়ার কারাগারে থাকা অসুস্থ বন্দিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া গণমাধ্যমকে নীরব ভূমিকা পালন না করার এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা রাশিয়ান নাগরিকদের বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রতিবেদনে তুলে আনার আহ্বান জানানো হয়।
সূত্র: রয়টার্স
]]>