বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
বাংলা ১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলে জমিদারি পান।
১৮৯১ সালে পিতার আদেশে জমিদারি দেখাশোনার কাজে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে আসেন। কবিগুরু ১৯০১ সাল পর্যন্ত শিলাইদহে জমিদারি পরিচালনা করেন। পদ্মা পাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি একে একে রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ বিখ্যাত সব কাব্যগ্রন্থ।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বিক্রি হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি
নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শিলাইদহে কবির জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এ ছাড়াও তিনি এখানে বসেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি। অসংখ্য গান, কবিতা, চিঠি, চিত্রকর্ম ও সাহিত্য শিলাইদহকে করেছে রবীন্দ্রসাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য।
শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো. আল আমিন বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা, মঞ্চ নাটক ও গ্রামীণ মেলা চলবে আগামী শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালো ছিলেন: ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী
কালবৈশাখী ঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা মাথায় রেখেও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।