বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: পাকিস্তান থেকে বাধ্য করে আফগানদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পোলিও রোগ বৃদ্ধির কারণ

৬ দিন আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে পাকিস্তান থেকে জোর করে আফগান নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টার “ বিপুল ভাবে” পিছিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী এবং এই কারণে এই পক্ষাঘাতকারী রোগটি আঞ্চলিক ভাবে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী আফগান্স্তিন হচ্ছে বিশ্বে দু’টি মাত্র দেশ যেখানে পোলিও মহামারীর আবার ধারণ করে আছে । এ বছর এ পর্যন্ত পাকিস্তানে ৪৯ জন ও আফগানিস্তানে ২৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পাকিস্তানে  সর্বসাম্প্রতিক পোলিও আক্রান্তের ঘটনাটি ঘটেছে আফগান সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বালুচিস্তানে। সেখানেই ২০২৪ সালে পোলিও আক্রান্তদের সংখ্যা অর্ধেকেরো বেশি। উভয় দেশে আবার পোলিওর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে ভূমধ্যসাগরীয় পুর্বাঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক হামিদ জাফরি বলেন, “ পোলিওকে  সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত , এটি আবার আবির্ভূত হবে আর এটাই আমরা এখন পাকিস্তানে দেখছি যেখানে জেলাগুলির মধ্যে প্রায় অর্ধেকটি আক্রান্ত হয়েছে, আর আফগানিস্তানে প্রদেশগুলির এক তৃতীয়াংশ রোগগ্রস্ত হয়েছে”।   গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়াটিভ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় জাফরি বলেন, “ আমার মনে হয় একটা বড় রকমের সমস্যা তৈরি হয় আফগান নাগরিকদের বাধ্যতামূলক ভাবে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের কারণে , যা ছিল পাকিস্তানে এবং উভয় সীমান্তে এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে অভাবনীয় ভাবে জনসংখ্যার চলাফেরা কাজেই এই চলাফেরার কারণেই জনসংখ্যার সঙ্গে ভাইরাসও দুটি দেশে ছড়িয়েছে”। শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার বলেছেন যে নথিপত্র বিহীন বিদেশি নাগরিকদের উপর পাকিস্তানের এই অভিযানের কারণে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ৭,৩০,০০০ অভিবাসন প্রত্যাশী আফগান, আফগানিস্তানে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।   পাকিস্তানে পোলিও রোগ সংক্রমণের অন্যান্য কারণ সম্পর্কে জাফরি বলেন, জঙ্গিবাদের কবলে পড়া এলাকাগুলোতে শিশুরাসহ সকলকে অব্যাহত ভাবে টিকা দেয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে
সম্পূর্ণ পড়ুন