গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেষবার দেশের হয়ে এই মাঠে খেলেন তামিম। এরপর থেকে হোম অব ক্রিকেটই তার প্রাকটিস গ্রাউন্ড। ইনডোর-জিম থেকে সেন্ট্রাল উইকেট, সবখানে অবাধ বিচরণ।
তবে বিসিবির গঠনতন্ত্র বলছে, হোম অব ক্রিকেটের ফ্যাসিলিটিস কেবল কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের জন্য। বিশেষ বিবেচনায় সেখানে অনুশীলনের সুযোগ পেতে পারে এইচপি বা 'এ' দল। এছাড়া ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রয়োজন হলে, নিজ খরচে বিকল্প খুঁজে নেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে বোর্ডের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: এনসিএলেও কেন দল পেলেন না সাব্বির?
ফোনে বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেন, 'এটা একটা টেস্ট ভেন্যু, এখানে মেইন পিচ কীভাবে পায় একজন? আমি একজন প্রফেশনাল খেলোয়াড়, এক কোটি টাকা আয় করি। তো আমি কেনো প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করে নেই না?'
যদিও সে পরামর্শ খাটে না তামিম ইকবালের ক্ষেত্রে। খান সাহেবের জন্য 'বিশেষ ব্যবস্থার' কারণ বিসিবির পরিকল্পনা। এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিকল্পনায় আছেন এই ওপেনার।
শাহরিয়ার নাফিস বলেন, 'তামিমকে আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন? উনি সেন্ট্রাল কন্ট্রাকে নেই। কিন্তু সে আসতেও পারে। সে একজন সাবেক অধিনায়ক। কিছুদিন আগে সে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল। সে দলে ফিরতে পারে, যদি সে ফিট থাকে।'
১৭ বছরের ক্যারিয়ার, দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার অতীত, সব মিলিয়ে বিসিবির এই সুবিধা পেতেই পারেন তামিম। তবে প্রশ্ন উঠেছে সেন্ট্রাল উইকেটের ব্যবহার নিয়ে। এমনিতেই ম্যাচের ব্যস্ততায় যাচ্ছেতাই অবস্থা এই ভেন্যুর উইকেটের। কালেভদ্রে যতটুকু বিশ্রাম মেলে, সেখানে ব্যক্তিগত অনুশীলনকে চরম বিলাসিতাই বলা চলে। একটা দেশের মূল ভেন্যুর উইকেটে এমন ব্যক্তিগত অনুশীলনের নজির বিরল। বিশেষজ্ঞদের মত, তামিমের প্রাকটিস সেশনগুলো, ক্ষতি করছে হোম অব ক্রিকেটের।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা
উইকেটের এমন বিসর্জনের পরেও তামিমকে ওয়ানডে দলে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে প্রশ্ন ওঠে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাস তিনেক বাকি থাকায়, এই ক্রিকেটারের নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ কই? নাকি কেবল নামের ভারেই সরাসরি প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক?