গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়, সুপারিনটেনডেন্ট আরশাদ শাহ জানান, সোমবার রাতে পালিয়ে যাওয়া ৮০ জনেরও বেশি বন্দিকে ধরে আনা হয়েছে এবং বাকি পলাতকদের জন্য অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
শাহ বলেন, ভূমিকম্পের সময় নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে ৪ এবং ৫ নম্বর সার্কেলের বন্দিদের ব্যারাক থেকে বের করে আনার সময় কারাগারের দেয়াল ভাঙার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন:করাচিতে ২৪ ঘণ্টায় ছয় বার ভূমিকম্প
তিনি জানান, সেই সময় ৬০০ জনেরও বেশি বন্দি তাদের সেলের বাইরে ছিল। বিশৃঙ্খলার মধ্যে, ২১৬ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বলেন, ১৩৫ জনেরও বেশি বন্দি এখনও পলাতক এবং তাদের অনুসন্ধান প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার এই পরিস্থিতিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে গুরুতর জেলভাঙার ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মঙ্গলবার ভোরে তিনি বলেন, কারাগার থেকে অনত্র সরিয়ে নেয়ার সময় বন্দিরা মূল ফটকের কাছে জড়ো হলে পালানোর ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, প্রায় ১০০ জন বন্দি জোর করে ফটক খুলে পালিয়ে যায়।
মন্ত্রী আরও জানান, সব পলাতক বন্দিকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বাসভবন এবং সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
লাঞ্জার আরও বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে কারাগারের দেয়াল ভেঙে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হলেও পরে নিশ্চিত হয়ে যায় যে মূল ফটক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেয়াল ধসের কারণে নয়।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অবহেলার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এবং বলেছেন, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, সিন্ধুর ইন্সপেক্টর জেনারেল গোলাম নবী মেমন, যিনি কারাগারটি পরিদর্শন করেছেন, তিনি গণমাধ্যমকে বলেন যে মালির কারাগারে মাদক সংক্রান্ত মামলায় জড়িত বিপুল সংখ্যক বন্দি রয়েছে, যাদের অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন:কে বসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতার মসনদে?
গত শনিবার থেকে করাচির বেশ কয়েকটি এলাকায় অন্তত ছয় বার ভূমিকম্প হয়।
]]>