এদিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় পলাতক রয়েছেন। ফলে বিদ্যুৎ বিল কীভাবে পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
শ্রীবরদীর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল ৩ বছর ধরে বকেয়া রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গত ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৯৩ হাজার ৮৮৬ টাকা।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার জরুরী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে নাগরিকদের সব রকম সেবা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।
এবিষয়ে শ্রীবরদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সূর্য্য নারায়ণ ভৌমিক সময় সংবাদকে জানান, খড়িয়া কাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল তিন বছর ধরে বকেয়া রয়েছে। তাদের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় এক লাখ টাকা। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে এত বিশাল পরিমাণে বকেয়া থাকা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদকে বেশ কিছুদিন ধরে মৌখিক এবং সবশেষ লিখিতভাবে বিল পরিশোধ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা বিল পরিশোধে কার্যকরী কোনো ভূমিকা না নেয়ায় গত ২০ জুন তারিখে বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সাপেক্ষে আবারও সংযোগটি স্থাপন করা হবে।’
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, ‘গত ২০ তারিখ থেকে ইউনিয়ন পরিষদটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, এমন তথ্য আমাকে কেউ জানায় নি। তবে একটি ইউনিয়ন পরিষদে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই কী কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এবং কীভাবে তা পরিশোধ করা যায়, সে বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’