মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
সরকার দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ করে থাকে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে চাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল ও ডাল অন্যতম। সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: মুক্তবাণিজ্য চুক্তি বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, সার্ক পুনর্জীবিত হলে সদস্য দেশগুলো উপকৃত হবে। দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
এসময় হাইকমিশনার বলেন, ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দুদেশই উপকৃত হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর রফতানিতে পাকিস্তান সরকারের আগ্রহের কথা জানান। পাকিস্তানে গম উৎপাদিত হলেও রফতানি করা হয় না। তবে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রফানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।