বিপিএলে ভেন্যু বাড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির

৪ সপ্তাহ আগে
বিপিএলের শুরুর দিকের কয়েকটি আসরে খেলা মাঠে গড়িয়েছে কেবল দুটো ভেন্যুতে- মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম এবং তৎকালীন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। পরে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে এই ভেন্যু তালিকায় যুক্ত করা হয়। এবার আরও একটি ভেন্যু বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিপিএলে একটি ভেন্যু বাড়ানোর গুঞ্জনটা বেশকিছুদিন ধরেই৷ নতুন বোর্ড সভাপতির ক্রিকেটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার যে পরিকল্পনা, তার অংশও বলা যেতে পারে এটিকে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম এই বিষয়ে জানা গেল। আসন্ন বিপিএলের জন্য অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে বিসিবি এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিপিএলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।


মাহবুব আনামের মতে, বিপিএলের ভেন্যু হওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে ৪ টি ভেন্যু। সেগুলো হলো-খুলনা, বগুড়া, বরিশাল ও রাজশাহী। এদের মধ্যে খুলনা ও বগুড়া আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসবে আগেও ব্যবহার হয়েছে। এই দুই ভেন্যুর মাঠ ও আউটফিল্ড অডিট করার জন্য ইতোমধ্যেই লোকবল পাঠিয়েছে বিসিবি। আর রাজশাহী এবং বরিশালে কিছু কাজ চলছে৷ এই চারটি ভেন্যুর মধ্যে যেটা সেরা হবে, সেটিকে আসন্ন বিপিএলের ভেন্যু হিসেবে রাখার কথা ভাবছে বিসিবি। 


এ প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, 'আমাদের চেষ্টা থাকবে বিপিএলের অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানোর। বগুড়া ও খুলনায় বিপিএলের ভেন্যুর জন্য অডিট করার জন্য পাঠিয়েছি গ্রাউন্ডস এবং ফ্যাসিলিটিজ থেকে। বরিশালের উইকেট প্রস্তুত আউটফিল্ডেরও কিছু কাজ চলছে। তাহলে বরিশালও ভেন্যু হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। রাজশাহীর ব্যাপারে এনএসসি কাজ করছে, আমরাও তাদের সাথে যোগ হয়েছি। এই চারটা ভেন্যুর মধ্যে যেটা সেরা হবে সেটাকে আগামী বিপিএলে যোগ করব।'


আরও পড়ুন: আজ শুরু গ্লোবাল সুপার লিগ, রংপুরের ম্যাচ কখন এবং কোথায় দেখবেন


এদিকে, আগামী সপ্তাহ থেকে বিপিএল সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা নিতে স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিপিএলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম । এই স্টেক হোল্ডারদের মাঝে আছেন সাংবাদিক, ক্রিকেটার, স্পন্সর থেকে ভক্ত-সমর্থকরা।  তিনি বলেন, 'আগামী সপ্তাহ থেকে বিপিএল সম্পর্কে ধারণা নিতে ক্রিকেটার, সাংবাদিক,  স্পন্সর, ফ্র‍্যাঞ্চাইজি মালিক ও ফ্যানদের সঙ্গে বসতে চাই। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হবে, অন্তত ৫ টি দল থাকবে। ৫ বছরের জন্য দেয়া হবে  ফ্র্যাঞ্চাইজি।


স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্য শুনে সার্ভে রেজাল্ট স্পোর্টস এজেন্সিকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। স্পোর্টস মার্কেটিং এজেন্টকে বাণিজ্যিক দিকগুলোর ব্যাপারে আগ্রহী করার কাজ দেয়া হবে। আগস্টের মধ্যে মিডিয়া রাইট, কমার্শিয়াল রাইটস, ফ্র‍্যাঞ্চাইজি চুজ করার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে বিসিবি। 


তবে, বিপিএলের ক্যালেন্ডার নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হতে পারে। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য বিকল্প ক্যালেন্ডারের কথা ভাবছে বিসিবি। মাহবুব আনাম এ ব্যাপারে বলেন, 'বিপিএলের প্রক্রিয়া বিপিএলের মতো চলবে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে ডিসেম্বরে না হলে মে মাসে বিপিএলের জন্য ফাঁকা আছে।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন