টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুম চলার সময় অন্য বিদেশি লিগগুলোয় খেলতে ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না। এমন নিয়ম হলে আইপিএল ছাড়া বিদেশি সব লিগের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
গত মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের একটি অংশ খেলেননি জেসন রয়। সে সময় তিনি খেলেছেন মেজর লিগ ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের আরেক ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলস খেলেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে। নতুন নিয়ম চালু হলে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
ইংল্যান্ডের অনেকেই খেলেন পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (পিএসল)। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারেও খেলেন অনেকেই। আগামী বছর থেকে এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে পিএসএল। একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ।
আরও পড়ুন: টানা তিন হারে ছিটকে গেল সাকিবের বাংলা টাইগার্স
পাকিস্তানের পিএসএলের দলগুলোর সঙ্গে ১৬ জন ইংলিশ ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ আছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের সূচিও ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেডের কাছাকাছি সময়ে। চলতি বছর দুটি টুর্নামেন্টই হয়েছে জুলাই মাসে। তবে আইপিএলে ক্রিকেটারদের জন্য এমন নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। আড়াই মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট অবশ্য আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিরও অংশ।
ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটারই আছেন, যারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই; তবে কাউন্টি ক্রিকেটে সাদা বলের চুক্তিতে আছেন। এমন অনেক ক্রিকেটার অনাপত্তি সনদবিষয়ক নীতিমালা নিয়ে শঙ্কিত। তারা মনে করছেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হলে তাদের খেলার সুযোগ অনেক কমে আসবে।
এক প্রতিবেদনে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে তারা ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। কিছু ক্রিকেটার মনে করেন, হানড্রেডকে বাঁচাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসিবি।
আরও পড়ুন: ছিটকে গেলেন হ্যাজেলউড, দলে দুই অনভিষিক্ত পেসার
ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ড্যারিল মিচেল ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘পিসিএ’র আইনি দল বর্তমান নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের বিষয়টি গভীরভাবে দেখছে। এই নতুন নীতি চালু হলে খেলোয়াড় ও তাদের প্রতিনিধিদের ওপর কী ধরনের সম্ভাব্য প্রবাব পড়তে পারে, সেটা বুঝতে মতামত নেওয়া হচ্ছে।’
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ঠিক রাখার জন্যই এমন নীতি বাস্তাবায়ন করতে চলেছে ইসিবি। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে জানায়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু আগামী সপ্তাহে নতুন নীতিমালার অনুমোদন দিতে পারে ইসিবি।
]]>