তখন হৃদয়ের সমস্ত কান্না ও আকুতি ও সমস্ত দোয়া আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবে, এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে, এবং সমস্ত ভুলগুলো ক্ষমা চাইবে, এবং বলবে হে আল্লাহ এই পবিত্র সফরে যেভাবে মক্কাকে সম্মান করা দরকার ছিল।
যেই আদব ও মর্যাদা প্রদর্শন করার দরকার ছিল সেটা হয়তো আমি করতে পারিনি, তাই আপনি আমার ভুলগুলো ক্ষমা করে আমাকে বারবার এই পবিত্র গৃহে আসার তাওফিক দান করেন (আমিন)।
আরও পড়ুন: আরাফার দিন নবীজি যে দোয়া করতেন
বিদায় তাওয়াফের পরিচয়: হজের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে মক্কা ত্যাগ করার পূর্বে যেই তাওয়াফ করা হয় তাকে বিদায় তাওয়াফ বলা হয়। হাজি সাহেবগণ হজের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে বিদায় তাওয়াফ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হাবিবের জন্মভূমি পবিত্র মক্কা মোকাররমা কে বিদায় জানায়।
বিদায় তাওয়াফের গুরুত্ব: মানুষের জন্য বিদায় তাওফের আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
لا ينفرن احد حتى يكون آخر عهده بالبيت অর্থ: কেউ যেন (হজ বা উমরার শেষ করে মক্কা থেকে) চলে না যায় যতক্ষণ না কাবা ঘর তাওয়াফ করাই তার শেষ কাজ হয়। (সুনানে আবু দাউদ-হাদিস নং ২০০২,পৃষ্ঠা ২৭৪)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ إِلاَّ أَنَّهُ خُفِّفَ عَنْ الْحَائِضِ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেদের আদেশ দেয়া হয় যে, তাদের শেষ কাজ যেন হয় বাইতুল্লাহর তাওয়াফ। তবে এ হুকুম হয়েজা মহিলাদের জন্য শিথিল করা হয়েছে। (সহিহ বুখারি ১৭৫৫)
ফিকহি ইখতিলাফ: ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ও ইমাম আহমদ (রহঃ) এর অভিমত হলো,বিদায় তাওয়াফ করা ওয়াজিব, তবে মক্বাসীদের জন্য জন্য ওয়াজিব নয়। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) ও মালেক (রহঃ) অভিমত হলো,তওয়াফে কুদুমের মত বিদায় তওয়াফ করা সুন্নত (হেদায়া প্রথম খন্ড) তবে ইমাম শাফেয়ি (রহ.) এর আরেকটি মত হলো,
বিদায় তাওয়াফ ওয়াজি, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) মতের মতো। (তথ্যসূত্র : মাসাদিরুল মাজহাব - ৩৮২ পৃষ্ঠা)
শিক্ষার্থী: জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা