বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে লেনদেন বৈধ নয়। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বাড়ছে। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের সুযোগ দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
এদিকে, সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্লাটফর্ম 'বাক্ট' অধিগ্রহণের পথে ট্রাম্পের মিডিয়া ফার্ম। এমন খবরে গত ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ১৭৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে ঠিক কত দামে প্লাটফর্মটি কিনে নিচ্ছে ট্রাম্প মিডিয়া, তা এখনও জানা যায়নি। ১৯ নভেম্বর ‘বাক্ট’-এর বাজার মূলধন ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। আর ট্রাম্প মিডিয়ার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রই হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো মুদ্রার রাজধানী: ট্রাম্প
মূলত নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্রিপ্টোকারেন্সি-বান্ধব নীতিমালা এবং ক্রিপ্টোর বাজারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম।
বাক্ট কেনার নতুন খবরে ক্রিপ্টোর বাজারে হইচই পড়ে গেছে। বুধবার প্রতিটি বিটকয়েনের দাম এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই তা এক লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য বলছে, অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রার দামও বাড়ছে।
২০১৮ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্লাটফর্ম 'বাক্ট' গঠন করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জ, যেখানে ২০২১ সালে লেনদেন শুরু হয়। জানা যায়, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ২৭.৪ মিলিয়ন ডলার পরিচালন লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির।
]]>