বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ডুয়েট ক্যাম্পাসে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. শাহজালাল, ফাইনাল ইয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের কিছু দাবির প্রেক্ষিতে বিশেষায়িত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সমমর্যাদায় আনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডুয়েট শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিতে এটি একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে শিক্ষাগত, পেশাগত এবং কাঠামোগতভাবে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এ কারণে এই দুই পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারদের একত্রে মূল্যায়ন করা অপ্রাসঙ্গিক।
এ সময় তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন—
- নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
- ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) সদস্যপদ ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।
- প্রকৌশল ক্যাডার ও সাধারণ ক্যাডারের বৈষম্য দূর করতে হবে এবং প্রকল্প পর্যায়ে নন-টেকনিক্যাল ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
- বেসরকারি খাতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডুয়েটে রাজনীতি করলেই শাস্তি
ডুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মনে করি, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি যৌক্তিক। তাই তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা চাই, দেশের প্রকৌশল খাত আরও সমৃদ্ধ হোক এবং বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে গর্বের স্থান করে নিক।
তারা আরও বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়— এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলাই সমীচীন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাছনীম আলম (ফাইনাল ইয়ার, ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. উবাইদুর রহমান (ফাইনাল ইয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), মিনহাজ হোসেন (ফাইনাল ইয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. রায়হান রাহেল (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং মাহতাব হোসেন (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং)।
]]>