নিহত ওবায়দুল হোসেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল সকালে ভারতের মধুপুর এলাকায় সীমান্তের মেইন পিলার ৪৮-এর নিকটে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে থাকার খবর দেয় ভারতের ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন। পরে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় নেয়।
২৮ এপ্রিল সকালে ওবায়দুলের বাবা হানেফ আলী যাদবপুর বিওপিতে এসে জানান, তার ছেলে ২৬ এপ্রিল রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। সীমান্তের ওপারে পাওয়া মরদেহটি তার ছেলের বলে দাবি করে বিজিবির কাছে লিখিতভাবে মরদেহ ফেরতের আবেদন করেন।
বিজিবি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার পত্রাচার ও সমন্বয় করে। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় পর ৯ জুলাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তরে সম্মত হয়। পরে ১২ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বিএসএফ চূড়ান্ত সময় ও স্থান জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস-এর কাছে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ শূন্যরেখায় নিয়ে আসে। ওবায়দুলের বাবা ও সৎমা মরদেহের পোশাক দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিজিবির দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও সমন্বয়ের ফলে ওবায়দুলের মরদেহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।