আওয়ামী লীগের শাসনামলে সভা সেমিনারে রাজপথে সরব ছিল বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। বিএনপির তরফ থেকে ঘোষণা ছিল, যুগপৎ নির্বাচন এবং সরকার গঠনের। তবে জনসমর্থনে কিছুটা পিছিয়ে থাকা এসব দলকে আসন ছাড়তে নানা হিসাব কষতে হচ্ছে বিএনপিকে। তা নিয়েই তীব্র ক্ষোভ দীর্ঘদিনের মিত্রদের।
মূলত ২০ দলীয় জোট অকার্যকর হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী এসব দল বিএনপির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে অবস্থান জানান দেয় রাজপথে। তবে আসন্ন নির্বাচনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ আট দলের মোর্চার শক্ত অবস্থান এবং আরপিও সংশোধনীতে নিজ দলের মার্কা নিয়ে ভোট করার বাধ্যবাধকতায় ভাবনায় পড়েছে বিএনপি। আসন ছাড়লে এসব দল জিতে আসতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দলটির।
তিন দফায় ২৭৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ তালিকায় জায়গা হয়নি শরিকদের। এরই মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখনো আসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শরিকরা।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আমরা তো ১৭ বছর ধরে কিছু চাইনি। যখন রেজাল্টের সময় এসেছে, তখন দেখলাম বিএনপি তার সব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এখন বলছে, তারা কিছু আসন খালি রেখেছে। কিন্তু আমার আসনেই তো প্রার্থী দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জোট সঙ্গীদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ চেয়ে আবেদন
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘বিএনপি চাইছে কোনোরকমে দু-চারটা, পাঁচটা বুস্ট দিয়ে পরিস্থিতি ম্যানেজ করা। এই ম্যানেজ করার চিন্তাটা যুগপতের শরিকদের ক্ষুব্ধ করেছে। একটা অনাস্থা ও অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি হচ্ছে। বিএনপি বন্ধুহীন হওয়ার তৎপরতা গ্রহণ করেছে কি না, এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’
ছাড় দেয়া আসনে পরাজয়ের শঙ্কার কথা বলছেন বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জয়ী হতে সক্ষম শরীকদের অনানুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দ্রুতই তা প্রকাশ করা হবে।
শরিকদের প্রত্যাশিত আসনে নিজস্ব উদ্যোগে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ এই নেতার। বাকি থাকা ২৭ আসনের মধ্যেই শরিকদের আসন নিশ্চিতের কথা বলছেন তিনি।
]]>
৩ দিন আগে
৬






Bengali (BD) ·
English (US) ·