বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ, বিচার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

১৪ ঘন্টা আগে
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্কুলশিক্ষক মো. আবু হানিফকে (৪৫) মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ বর্জন করে মানববন্ধন করেছেন।

আহত স্কুলশিক্ষক মো. আবু হানিফ চরমোন্তাজ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি এবং লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত মোজাম্মেল প্যাদা চর বেষ্টিন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

 

জানা গেছে, রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর বেষ্টিন গ্রামে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার (২৫ আগস্ট) আবু হানিফ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

 

ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ বর্জন করে মানববন্ধন করেন। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলিয়ে চার শতাধিক মানুষ অংশ নিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

 

আরও পড়ুন: জিয়ার মাজারে ডাক্তার সাবরিনা, যুবদল সভাপতির ক্ষোভ

 

হামলার শিকার আবু হানিফ বলেন, ‘আমি স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়াই। সেখানে ইসলামের আলোকে সমাজের চাঁদাবাজি, ঘের দখল ও নৈরাজ্য নিয়ে কথা বলি। এ কারণেই আমাকে বারবার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। কয়েকজন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা আমাকে গ্রাম থেকে বিতাড়নেরও পরিকল্পনা করেছিল। রোববার রাতে প্রথমে বাজারে প্রকাশ্যে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোজাম্মেল প্যাদা আমাকে মারধর করেন। পরে রাত ৯টার দিকে আমার বাসার সামনে এসে ছাত্রদলের কয়েকজন আরও হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

 

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মোজাম্মেল প্যাদা ঘটনার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘আমার কাছে গোশতের টাকা পাবে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় সে লোকজনের কাছে বলেছে আমি চাঁদা নিয়েছি। এ কথা শুনে আমি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করি। কথার একপর্যায়ে আমি একটি থাপ্পড় দেই। পরে রাতে ছাত্রদলের কয়েকজন গিয়েছে। তবে প্রাণনাশের চেষ্টা বা মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।’

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোলায়মান বলেন, ‘একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। সহকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা শ্রেণিকক্ষ বর্জন ও মানববন্ধন করেছি। এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’

 

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘একজন শিক্ষককে মারধরের ঘটনা আমরা জেনেছি। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন