বিএনপি নেতাকে 'হাইব্রিড' ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১৫

২ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরিফুল আলমকে ফুল দেয়ার সময় বিএনপির একটি পক্ষ আরেক পক্ষকে 'হাইব্রিড' বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর একটার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


জানা যায়, শনিবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্নসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগী দেখতে আসেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় বিএনপি নেতা সোহরাব তার সমর্থকদের নিয়ে শরিফুল আলমকে ফুলের মালা দিতে গেলে অন্যান্য বিএনপি নেতারা বাধা দেন। তাদের দাবি, দীর্ঘ ১৫ বছর নীরব ছিলেন সোহরাব, তিনি বিএনপির দলীয় কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।


এ ঘটনার জের ধরে দুপুরে শরিফুল আলম চলে যাওয়ার পর ১টা থেকে সেহারাবের সমর্থক ও আখতারের সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ শুরু হয়। এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পড়ে বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।


আরও পড়ুন: একইস্থানে বিএনপির দুগ্রুপের কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫


ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রোহানী হাইব্রিড ডাকা নিয়ে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একপক্ষ মালা দিতে বারণ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন