মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবারে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দলটিতে যোগ দেন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) হাতে হাত রেখে তিনি নতুন পথচলার ঘোষণা দেন।
দলটিতে যোগদানের সময় মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আরও শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও চরমোনাই পীরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে অল্প সময়ের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের দশকে তিনি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি থেকে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চরমোনাই পীরের আমন্ত্রণের সারা দিয়ে আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তবে ২০২৩ সালে আমি হজ করার পর থেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। হজের পর থেকে আমার মন মানসিকতায় এবং চিন্তাধারায় একটা পরিবর্তন আসে।’
আরও পড়ুন: ‘এই দিন, দিন না আরও দিন আছে’ আদালতে বললেন শাহজাহান ওমর
তিনি আরও জানান, রাজনীতি থেকে দূরে সরে জীবনের শেষ সময়টা ইসলামের খেদমত করে এবং জনগণের পক্ষে ও সামাজিক কাজ করার একটা অভিপ্রায় ছিল। এই চিন্তাধারা থেকে আমি ইসলামের খেদমত ও এই এলাকার জনগণের জন্য কাজ করতে এই দলে যোগ দিয়েছি। বিএনপির সঙ্গে আমার রাজনৈতিক কোনো বিরোধ নেই। কারণ দীর্ঘদিন আমি এই দলে ছিলাম। বয়স ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে মানুষের মনে একটা পরিবর্তন আসে, আমি আখেরাতটাকেই গুরুত্ব দিয়ে ইসলামী দলে যোগ দিয়েছি। আমি চাই আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসলামী দলের সঙ্গে থাকতে।
এ দিকে ইসলামী আন্দোলনের একটি সূত্র জানিয়েছে, মোস্তাফিজুর রহমান আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।