বাড়ির আঙিনায় আঙুর চাষ, ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনছেন শরিফুল-মিম দম্পতি

৩ দিন আগে
বাড়ির আঙিনায় আঙুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মেহেরপুরের শরিফুল ইসলাম। তার সাফল্যে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম। ছেলেবেলায় একটি হাত হারিয়েছেন, কিন্তু হারাননি মনোবল। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আঙুর চাষে স্বপ্ন বুনছেন তিনি। বাড়ির আঙিনায় সাত কাঠা জমিতে করেছেন ৮ প্রকারের আঙ্গুরের চাষ। স্ত্রী শারমিন আক্তার মিমকে সঙ্গে নিয়ে পরিচর্যা করে পেয়েছেন বাম্পার ফলন।

 

শুরুটা প্রতিবেশী থেকে নেয়া একটি আঙুর গাছ থেকে। যা গত ১৪ মাসে বাড়াতে বাড়াতে গিয়ে ঠেকেছে ৩৫টি গাছে। একটি দুটি নয় একোলো, বাইকুনুর, ব্ল্যাক ম্যাজিক, ব্ল্যাক জাম্বো সহ ৮টি জাতের আঙুর রয়েছে শরিফুলের বাগানে। থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর ফল।

 

শরিফুল জানান, ছেলেবেলায় ভুল চিকিৎসায় একটি হাত হারানোর পর থেকে জীবনে দুঃখ নেমে আসে। সংসারের অভাব কাটাতে মুদি দোকান দিলেও দূর হয়নি তা। অবশেষে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশি ফল আঙুর চাষ শুরু করেছি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, এখন দাম পেলে লাভবান হতে পারব।

 

আরও পড়ুন: সবুজ, কালো নাকি লাল, কোন আঙুরে পুষ্টিগুণ বেশি?

 

শারমিন আক্তার মিম বলেন, আগে দোকানে ব্যবসা না হলে না খেয়ে থাকতে হতো। এখন চাষাবাদ করে আয় করতে পারব। নিজের সন্তানের পড়ালেখাতেও সহায়ক হবে চাষের আয়।

 

শরিফুলের আঙুর চাষ দেখে অভিভূত এলাকাবাসী। দেশের মাটিতে বিদেশি ফল উৎপাদন করায় শরিফুল-মিম দম্পতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকরাও।

 

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, দেশের বেশ কিছু জায়গায় আঙুর চাষ হয়েছে, তবে সেগুলো মিষ্টতা কম। শরিফুলের চাষ করা আঙুরের মধ্যে কোনোটি যদি মিষ্টতা ধরে রাখতে পারে তবে দাম ভালো পাবে। কৃষি বিভাগ উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চ মূল্যের এ ধরনের চাষ বাড়াতে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন