বাড়ছে করোনা অথচ গাজীপুরে নেই পরীক্ষার ব্যবস্থা

৩ সপ্তাহ আগে
৫ বছর পর সম্প্রতি আবারও দেশে করোনাভাইরাস না দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ১৬ টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নামও রয়েছে। নাম থাকলেও সেখানে নেই পরীক্ষার ব্যবস্থা৷ সবেমাত্র কীটের চাহিদা প্রস্তুত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের শরীরে।


গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, তারা ২০ হাজার কীটের চাহিদা প্রস্তুত করেছ৷ মঙ্গলবার তারা এটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে। তবে তারা করোনা রোগীদের জন্য ১০ টি বেড প্রস্তুত রেখেছে। এরমধ্যে ৫ টি পুরুষ ও ৫ টি মহিলা রোগীদের বেড৷ এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি।


গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত তাদের কাছেও করোনা আক্রান্ত রোগীর কোন তথ্য আসেনি৷ তবে গাজীপুরের ৪ টি উপজেলা কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১ হাজার করে কীটের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো সিভিল সার্জন অফিস হতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে৷ সেখান হতে কীট আসলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে।


তবে গাজীপুর নগরবাসী বলছেন, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর জেলায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষের বসবাস। দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হলেও গাজীপুরে কোন আক্রান্ত হয়নি এটা কোন বিশ্বাসযোগ্য কথা নয়৷ এখানকার হাসপাতালে কীট নেই, পরীক্ষা হচ্ছে না এজন্য রোগী শনাক্ত হয়নি৷ দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করলেই রোগী পাওয়া যাবে।


আরও পড়ুন: থামছেই না করোনায় মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৫ জন


গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান অফিসার আমানুল্লাহ বলেন, গাজীপুরে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।  সরকারি হাসপাতালগুলো কীটের চাহিদা দিয়েছে। সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা পেয়ে যাবে।


গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো.আব্দুস সালাম সরকার , এখন পর্যন্ত গাজীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে আসেননি।প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য ১০টি বিছানা রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে পাঁচটি পুরুষ ও পাঁচটি নারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আরো বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। আমাদের হাসপাতালে কীট নেই, যার কারণে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আমরা ২০ হাজার কীট ও অনন্য সামগ্রিক চাহিদা প্রস্তুত করেছি৷ আশা করছি সেগুলো কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাব।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন