কর্মসূচি থেকে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড আবদুর রাজ্জাকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রতিবাদও জানান বাসদ নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের ফেনী জেলা আহ্বায়ক কমরেড মালেক মনসুর, সদস্য সচিব কমরেড অর্জুন দাস ও সদস্য কমরেড ডাক্তার হারাধন চক্রবর্তী।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্তির চেতনায় স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম এই ডিসেম্বর মাসে। গত ৫৩ বছরে শাসক শ্রেণি সেই চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করায় তা অপূরিত থাকায় এবারেও অনুরূপ চেতনায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালবাসীকে রক্ষা করার দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ
অথচ গণঅভ্যুত্থানের পর একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক চেতনাকে অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, স্মৃতিস্তম্ভ, মাজার, মন্দিরে হামলা এবং প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গের ওপর ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে চলেছে।
তারা বলেন, একদল দুষ্কৃতিকারী-উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কুমিল্লায় নওয়াব ফয়জুনন্নেছা চৌধুরীর প্রতিকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ভাস্কর্যে কালি লেপন করে বিকৃত করে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্যের কালি মুছতে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা বাসদ নেতা আবদুর রাজ্জাকের ওপর হামলা চালায়। কিল, ঘুষি, বুকে-পিঠে লাথি মেরে এবং পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করে আবদুর রাজ্জাককে মারাত্মকভাবে জখম করে।
সমাবেশ থেকে কমরেড আবদুর রাজ্জাকের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করা হয়।
সমাবেশে কমরেড মালেক মনসুর সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক চেতনায় গণঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা যা আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থি, তা জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সংলাপে যাবে না বাসদ, ৫ সুপারিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি
একই সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক চেতনায় গণঐক্যকে এগিয়ে নেয়া ও সকল প্রকার ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ও উস্কানীর হোতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির তীব্র সমালোচনা করা হয়।
সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
]]>