সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণখার গ্রামে কনের বাড়িতে গিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ছামিউল আলম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয় জেলার আখাউড়া উপজেলার ধাতুর পহেলা গ্রামের মো. ইকরাম হোসেনের সঙ্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে আদালতের আগমনের খবর পেয়ে পালিয়ে যান বর ও কাজী।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিভেনম না পাওয়ার অভিযোগ, ওঝার কাছে নেয়ার পর শিশুর মৃত্যু
পরে নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দেয়ার দায়ে কনের পরিবারকে ১০ হাজার ও বরের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থী যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্থানীয় মেম্বারকে দেয়া হয়।
ইউএনও মো. ছামিউল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। পরে উভয় পরিবারকে জরিমানা করা হয়েছে এবং ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। জনস্বার্থে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
]]>