তার আগে ভয়ঙ্কর একটা মৌসুম পার করলেন পেপ গার্দিওলা। সিটির ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে এমন ভরাডুবি এর আগে আর দেখতে হয়নি।
ইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পরেও গার্দিওলার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে সিটি। এটা যে প্রত্যাশিত ছিল তার জন্য। ইংলিশ না হয়ে কোনো স্প্যানিশ ক্লাব হলে, ছাঁটাই হতেন বলেও মনে করেন পেপ।
গণমাধ্যমকে গার্দিওলা বলেন, ‘এই বছরটা যেমন গেছে, যদি এটা স্পেন হতো, তাহলে আমি অক্টোবর, নভেম্বর বা ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচ হিসেবে থাকতাম না। যদি এটা বার্সা বা রিয়াল মাদ্রিদ হতো, তাহলে আমাকে তারা ছাঁটাই করত। কিন্তু এখানে সেই প্রশ্ন কখনো ওঠেনি। কার্লো আনচেলত্তির দিকে তাকান। কদিন আগেই সে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জিতেছে। আর এখন সে ব্রাজিলের কোচ।’
তবে সব খারাপ দিনেরই তো শেষ আছে। গার্দিওলার খারাপ দিনও শেষ হতে পারে ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে। আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের তকমা। সেই সঙ্গে স্কোয়াডে পাচ্ছেন নিজের পছন্দের সব ফুটবলার।
আরও পড়ুন: ইংলিশ দলবলের সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছেন ফ্লোরিয়ান উইৎজ
৩ নতুন সাইনিং নিয়ে ফ্লোরিডায় পা রেখেছে সিটিজেনরা। জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষে আছেন পুরনো তারকারাও। ক্লাব বিশ্বকাপ পুনর্জীবন দিতে পারে ম্যানসিটিকে। নতুন জীবনের খোঁজে কোচ নিজেও।
টুর্নামেন্টের সফলতম কোচ পেপ গার্দিওলা। একমাত্র কোচ হিসেবে জিতেছেন ৪ শিরোপা। সেই সঙ্গে ভিন্ন ৩ ক্লাবের হয়ে এই শিরোপা জয়ের রেকর্ডটাও একমাত্র পেপের।
২০০৯, ১১, ১৩ আর ২৩। বার্সেলোনার হয়ে প্রথম দুটি, এরপর বায়ার্ন মিউনিখ আর সবশেষ সিটি। ক্যারিয়ারে সবগুলো ক্লাবের হয়ে এই টুর্নামেন্ট জয়ের নজির। এবার সিটির হয়ে সংখ্যাটা দ্বিগুণ করার সুযোগ। স্প্যানিয়ার্ডের ওপর ম্যানেজমেন্টের যে আস্থা, তার প্রতিদান দিতে শিরোপা জয়ের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: ৬৩২ কোটি টাকায় রিয়াল মাদ্রিদে আর্জেন্টিনার বিস্ময়বালক
বুধবার সিটিজেনদের শুরু ক্লাব বিশ্বকাপের মিশন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ মরোক্কান ক্লাব ওয়দুদ এসির বিপক্ষে। এরপর সৌদির আল আইন আর শেষ ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের বিপক্ষে নামবে সিটিজেনরা।
]]>