শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত শুরু হয়। এরপর একে একে ঈদের আরও ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ও আশপাশের জেলার অনেকেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নিজে হাজির হন ঈদের জামাতে। বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল শিশুদেরও। নামাজে অংশ নেন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরাও।
তাকবীরের ধ্বনিতে মুখরিত মসজিদ। বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে শরিক হন হাজারো মুসুল্লি। প্রথমবারের মতো অনেকেই জাতীয় মসজিদে এসে উচ্ছ্বসিত। এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমার পবিত্র ঈদুল আজহা আজ
এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায়, চতুর্থ সকাল জামাত ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি জামাতের আলোচনা ও খুতবায় মুসলিম বিশ্বের ঐক্য এবং দেশের মঙ্গল কামনা করা হয়। ঈদ জামাত ঘিরে বায়তুল মোকাররমে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নামাজ শেষে মুনাজাতে দেশের সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিত মানুষের জন্য করা হয় বিশেষ মোনাজাত। মহান রবের দরবারে কোরবানি যেন কবুল হয় সে আকুতিও ছিল অনেকের কণ্ঠে।
মুসল্লিরা স্মরণ করেন চব্বিশের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারীদের। শহিদদের স্বপ্নের বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
]]>