বাধা পেরিয়ে গাজার কাছাকাছি ফ্লোটিলার শেষ জাহাজ ‘ম্যারিনেট’

৪ ঘন্টা আগে
ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের শেষ জাহাজ ‘ম্যারিনেট’ গাজার আঞ্চলিক জলসীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জিএমটি ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা), ইসরাইলি বাহিনী এখনও ইয়টটিকে আটক করতে পারেনি। খবর আল জাজিরা’র। 

 

একটি লাইভ ভিডিও ফিডে দেখা গেছে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভূমধ্যসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে এগিয়ে চলেছে নৌযানটি।

 

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জিও ট্র্যাকার অনুসারে, জাহাজটি বর্তমানে গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৮ নটিক্যাল মাইল (৮৮ কিলোমিটার) পশ্চিমে অবস্থান করছে। 

 

আরও পড়ুন: ত্রাণবহর ফিলিস্তিনিদের কোনো উপকারে আসবে না: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

 

এর আগে আল জাজিরার আলাদা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ম্যারিনেট’ পোলিশ পতাকার অধীনে চলছে এবং এতে মোট ছয়জন আরোহী আছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন জানান, তাদের নৌযানের ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল, যা এখন সমাধান করা হয়েছে।

 

ফ্লোটিলা আয়োজকদের মতে, জাহাজটি এখনও স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত এবং যোগাযোগের মধ্যেই আছে। এক লাইভ স্ট্রিমে দেখানো হচ্ছে, এখন পর্যন্ত জাহাজটি সক্রিয় রয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: তুরস্কের ৩০ নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি বাহিনী

 

এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় রাত থেকেই নৌযানগুলোতে অভিযান চালায় ইসরাইল। আটক করা হয় দুই শতাধিক যাত্রীকে। তাদের সবাইকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের কেটজিওট কারাগারে রাখা হয়। আটকদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। 

 

আটক হওয়ার আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে গ্রেটা বলেন, ইসরাইলি বাহিনী আমাকে জোরপূর্বক আটক করেছে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ইসরাইলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের উদ্যোগ মানবিক, অহিংস ও আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যেই ছিল। দয়া করে আমার দেশের সরকারকে বলুন যেন তারা আমার এবং অন্যদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করে। 

 

ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, নৌবহরের যাত্রীরা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন এবং বৈধ অবরোধ লঙ্ঘন করছেন। আটকদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়। তেল আবিবের এমন পদক্ষেপে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইতালি প্রশাসন বলছে, এই জাহাজভরা ত্রাণে কোনো প্রভাব পড়বে না উপত্যকাবাসীর।

 

আরও পড়ুন: আটক না হওয়া গাজামুখী শেষ নৌযানটি কোথায়, জানা গেল

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন