১ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইন আপ। ৫ রান তুলতে নেই ৭ উইকেট। ফলাফল, আরও একটি বাজে হার।
বুধবার (২ জুলাই) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৭ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৩৫.৫ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থামে মিরাজের দল।
তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তের দ্বিতীয় উইকেট জুটির পর কে ভেবেছিল ম্যাচটি আসলে হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তাও খুব বাজেভাবে। ওপেনিং জুটিতে অভিষিক্ত পারভেজ ইমন বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে না পারলেও ক্রিজ আঁকড়ে রেখেছিলেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। ১৬ বলে ১৩ রান করে ইমন বিদায় নিলেও ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে গড়েন ৭১ রানের দারুণ জুটি। দুজনের জুটিতে মনে হচ্ছিল সহজ জয়ের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। দলও পৌঁছে যায় শতরানে। হাতে ৮ উইকেট, জয়ের জন্য শেষ ৩৩ ওভারে প্রয়োজন ১৪৫ রান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ল সাপ
কিন্তু শান্তর রান আউটের পর তাসের ঘরের মতো মুহূর্তেই ভেঙে যায় লাল সবুজদের ব্যাটিং লাইন আপ। ২৬ বলে ২৩ রান করে শান্ত রান আউট হন। এরপর ৫ রান যোগ করতে বিদায় নেন ৬ ব্যাটার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণির তোপে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস (০), তানজিদ হাসান (৬২), তাওহীদ হৃদয় (১), মেহেদী হাসান মিরাজ (০), তানজিম হাসান সাকিব (০) ও তাসকিন আহমেদ (০)।
শেষদিকে তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গ নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে হারের ব্যবধান কমান জাকের আলী অনিক। ৩৬তম ওভারে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৬৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ৫১ রান করেন তিনি। লঙ্কানদের পক্ষে মাত্র ১০ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন হাসারাঙ্গা, ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন কামিন্দু।
আরও পড়ুন: ভারতের বাংলাদেশ সফরে রাজি নয় মোদি সরকার!
এর আগে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং নৈপুণ্যে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। ৪৭ রান খরচায় তাসকিন ৪ আর ৪৫ রান খরচায় সাকিব ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শান্ত ও তানভীর ইসলাম। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন চারিথ আসালাঙ্কা।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৫ জুলাই একই মাঠে।
]]>