সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগে বলা হত উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণে দামও বেশি। কিন্তু এখন কেন আবার দাম বাড়ছে? সব সংস্কার কমিটি হলো, বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য কমিটি করা হলো না কেন?
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন,
বাজার সংস্কার কমিটি করে দেন। আমরা কাজ করতে রাজি আছি। বিনা পয়সায় কাজ করে বিকল্প প্রস্তাবনা হাজির করব। আহামরি কাজ করতে হবে না।
বাজার কিছু কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের নামে যা হয় তা যথেষ্ট নয়। বাজার মনিটরিংয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে সম্পদের পাহাড়, কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা
তিনি দাবি করেন, আমদানি পণ্যের সিন্ডিকেট কমাতে হবে। বাজারে পণ্যের দাম কমাতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সার, কিটনাশকের দাম কমাতে হবে। বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। উৎপাদক সমবায় করতে হবে। মধ্যসত্বভোগী কমাতে হবে। চাঁদাবাজ কমাতে হবে।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূইয়া বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, অথচ বেড়েছে। আলুর দামও কমছে না। অতিলোভের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম। ড্রামের তেলের জন্য সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। খোলা তেল বিক্রি বন্ধে আইন বাস্তবায়ন হয়নি। শাস্তির বিধান না থাকায় আইন কার্যকর হচ্ছে না। আইন ঠিকঠাক প্রয়োগ হচ্ছে না। পানির দাম নিয়ে মামলা করেও কোনো ব্যবসায়ীর শাস্তি হয়নি। পানি ব্যবসায়ীরা হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। করপোরেট ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়ায়।
অভ্যুত্থানের ফলাফল নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন,
ভোক্তাকে কম দামে দেয়ার কন্য কোনো কমিশিন হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশনের দাবি করছি। বাজারে গিয়ে দেখেন, মানুষ আপনাদের কী বলে। আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে আসেন, দেখেন কবর পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে। একটা গ্রুপ দখলদারি করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্বেতপত্র কমিটির কাজ চুরির বর্ণনা দেয়া, চোর ধরা নয়: ড. দেবপ্রিয়
‘শুল্ক কমানোর ফল নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলব, আপনার বডির মাঝে অনেক লোক আছে পতিত সরকারের। তারা কাজ করছে না। জরিমানার টাকা ভোক্তার কাছ থেকেই ব্যবসায়ীরা তুলে নেয়। অভিযানের পর আবার আগের দামেই পণ্য বিক্রি হয়’, যোগ করেন তিনি।