বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এ কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত।
এ দিকে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে অভ্যান্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।
জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মিছিল শুরু করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মিছিল করেন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেন। চারটি আসন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ইসিকে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। যতদিন পর্যন্ত চারটি আসন ফিরিয়ে না দেবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।