ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী রোববার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিস ও আদালতে অবস্থান কর্মসূচি থাকবে। পরের দিন সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে।
শেখ মো. ইউনুস বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত হরতাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হচ্ছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস-আদালত ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি হবে। আর সোম, মঙ্গল ও বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ১২ ঘণ্টা করে হরতাল চলবে। রাতে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি কো কনভেনার বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এস সালাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা না হলে আমরা আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। কমিটির আইনজীবী প্যানেলকে হাইকোর্টে রিট দায়েরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির গণমিছিল
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন কর্মসূচি প্রকাশ করা হলো।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: দুটি নয়, তিনটি আসনই পুনর্বহাল চাইছে বরগুনাবাসী
গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
]]>