শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাঁতি গ্রামের উত্তর পাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুল ইসলাম চৌধুরী একই গ্রামের মোশাররফ চৌধুরীর ছেলে। তিনি এরশাদ চৌধুরী পক্ষের লোক বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সিংগাঁতি গ্রামের মাসুম চৌধুরী ও এরশাদ চৌধুরী পক্ষের মধ্যে বংশীয় বিরোধ ও স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুকুল চৌধুরীর বাড়ির সামনে আজিজুল চৌধুরীর সঙ্গে মাসুম চৌধুরীর পক্ষের এক ব্যক্তির তর্কাতর্কির একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন রক্তাক্ত জখম হন। তাদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গদখালী ফুল বাগানে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের
সংঘর্ষের খবর পেয়ে মোল্লাহাট থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সম্ভাব্য নতুন সংঘর্ষ ঠেকাতে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এটি দুই পরিবারের পুরনো বিরোধ থেকে সংঘটিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষে জড়িতরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
সংঘর্ষের কারণ ও প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে উভয় পক্ষের— মাসুম চৌধুরী ও এরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।