বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ইলিশের প্রধান প্রজননের মৌসুমে ২২ দিনের দ্বিতীয় দিন রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে তেঁতুলিয়া নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক জেলে জাল রেখে পালিয়ে যায়। নদীতে জাল পাতা অবস্থায় ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ ও তিন জেলেকে আটক করা হয়।
পরে জব্দকৃত জাল তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আটককৃত তিন জনকে সন্ধ্যায় বাউফলে নিয়ে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাত সাড়ে ৮টায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী / ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞার প্রথম রাতেই ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
আটককৃত তিনজন হলেন, মো. আনিচ মৃধা, মো. ইমাম হোসেন ও মো. সজিব মোল্লা। তিনজনেরই বাড়ি ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার ৫নং সাচরা এলাকায়।
বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. এম এম পারভেজ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য আমাদের তৎপরতা থাকবে আগামী ২৫ এ অক্টোবর পর্যন্ত।’
৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। এই ২২ দিন সকাল সন্ধ্যা অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন।