গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বুধবার (২৮ মে) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। সালমান ফিফটি করলেও শাদাব ২ আর নাওয়াজ ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। লাল সবুজদের পক্ষে ৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাকি সবাই ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াইওয়াশ করলেও এখনো টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সে ডেডলক ভাঙার উদ্দেশে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে লিটন দাসের দল। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে এদিন বল হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। পাকিস্তানের খাতায় ৫ রান যোগ হতেই দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখায় লাল সবুজরা। নিজের প্রথম মোকাবিলা করা বলে লিড এজ হয়ে বোলার শেখ মেহেদীর হাতেই ক্যাচ তুলে দেন সাইম আইয়ুব (০)। ৪ বলে ১ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন ফখর জামান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে থাকছে না ডিআরএস
দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলী আঘা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ১৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে আউট হন হারিস। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পাকিস্তান। ১১ ওভারের মধ্যে দলকে শতরানে পৌঁছে দেন হাসান নাওয়াজ ও সালমান। তাদের ৬৫ রানের জুটি আরও বড় হয়ে ওঠার আগে ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ৩৪ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হন সালমান। অন্যদিকে জড় তুলতে থাকা নাওয়াজকে থামান রিশাদ হোসেন। ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৪৪ রান করে রিশাদের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন নাওয়াজ।
এদিন বল হাতে কিছুটা চমক দেখিয়েছেন পার্ট টাইম বোলার শামীম হোসেন। জাত বোলারদের ভিড়ে কার্যকরী ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। তার বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হন খুশদিল শাহ। ১০ বলে ৫ রানে থামেন এ ব্যাটার। তাতে মনে হয়েছিল দুইশর আগেই হয়তো আটকে রাখা যাবে পাকিস্তানকে। কিন্তু শেষদিকে শাদাব খান ও ফাহিম আশরাফ ঝড় তুলে দলের সংগ্রহ দুইশ ছাড়িয়ে নেন। ইনিংস শেষ হওয়ার আগের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শাদাব। ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। ৬ বলে ১ ছক্কায় ১১ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডের ওপর নির্ভর করছে রংপুরের জিএসএল দল
বাংলাদেশের পক্ষে এদিন সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পার্ট টাইম হয়েও সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন শামীম। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে শেখ মেহেদী, ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে হাসান মাহমুদ আর ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব।
]]>