বাংলাদেশের ঘটনাগুলোকে 'গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: ভারত

৫ দিন আগে
বাংলাদেশে 'উগ্রবাদী বক্তব্য' নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সংখ্যালঘুদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “চরমপন্থী বক্তব্য, সহিংসতা ও উসকানির ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।” রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এসব ঘটনাকে শুধু 'গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন' বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। মুখপাত্র বলেন, “আমরা আবারও বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সরকার বিষয়টি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুব স্পষ্ট করে বিরোধিতা করেছি। আমরা বাংলাদেশের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছি যে, সংখ্যালঘুদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে এবং তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে হবে।” চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও কারাদণ্ড প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “আমরা ইসকনকে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত সংস্থা হিসাবে দেখছি। সংস্থাটির সমাজসেবার ব্যাপক কর্মকাণ্ডের নজির রয়েছে।” ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, তারা আশা ও প্রত্যাশা করেন যে, ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করে এই প্রক্রিয়াগুলো ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছভাবে মোকাবিলা করা হবে।   কলকাতায় ডঃ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো ও জাতীয় পতাকার অবমাননার নিন্দা বাংলাদেশ সরকারের   ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে উগ্রবাদী বিক্ষোভে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, "বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা এবং ভারত সরকারকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন ও ভারতে বাংলাদেশের অন্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি এর কূটনীতিক ও অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।" বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সামনে 'বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ' নামের একটি হিন্দু সংগঠনের আয়োজনে সহিংস বিক্ষোভে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বিবৃতিতে আরও বলা বলেছে, "বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল সমাবেশ ও বিক্ষোভে সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছে যায়। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ্য করে।" যদিও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে ডেপুটি হাইকমিশনের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রয়েছেন।
সম্পূর্ণ পড়ুন