"বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী মিশন মোতায়েন দরকার," মমতার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার কী বলছে? 

১ সপ্তাহে আগে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় মমতার এমন বক্তব্যকে "বরাবরের মতোই" দেখছেন উল্লেখ করে সোমবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, "পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে চায় বাংলাদেশ।" তিনি বলেন, "আমি এটাকে মমতার মন্তব্যকে তার হিসেবেই দেখতে চাই। তিনি কেন এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা আমার বোধগম্য নয়।" হোসেন বলেন, "রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে মন্তব্য করলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন এটি তার(মমতার) কাছ থেকে সঠিক পদক্ষেপ নয়।" এর আগে উপদেষ্টা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ব্রিফ করেন এবং সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ, বিশেষ করে ভারতের সংবাদমাধ্যম অপপ্রচারে লিপ্ত। তিনি বলেন, "আমরা বলেছি, সমাজে আমরা সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। আমরা বলছি না যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি, তবে এগুলো বিচ্ছিন্ন এবং সব শাসনামলেই কমবেশি ঘটে।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো পরিস্থিতিতে ইসকনের সাবেক নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা কূটনীতিকদের জানিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন। তিনি বলেন, সরকার দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেবে না এবং সব নাগরিককে সমান চোখে দেখে। হোসেন স্বীকার করেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ধারায় পরিবর্তন এসেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ জানিয়েছে।
সম্পূর্ণ পড়ুন