বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় সূচনা করে ‘রক্তাক্ত জুলাই’

৫ দিন আগে
বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে ‘রক্তাক্ত জুলাই’। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে গত বছর জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন, যার শেষ পর্যায়টি ছিল গণ-অভ্যুত্থান।

বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতেই লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন রাষ্ট্রে শুরু থেকেই সরকারি চাকরিতে জারি ছিল কোটা প্রথা। এক পর্যায়ে সেই কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশে।

 

বছর ৬ আগে ২০১৮ সালে ৫৬ শতাংশ পদে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের বিরোধীতা করে শুরু হয় কোটা আন্দোলন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল।

 

৬ বছর আগের সেই আন্দোলন নতুন মাত্রা পায় ২০২৪ সালে। ওই বছরের ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে ন হাইকোর্ট। কিন্তু ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লব: একেকটি দিন ছিল রাতের চেয়েও অন্ধকার!

 

৬ জুন আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ জুন আবারও মাঠে নামেন তারা এবং সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। একই দাবিতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নামেন আন্দোলনে।

 

পহেলা জুলাই থেকে শুরু হয় লাগাতার কর্মসূচি। কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

 

২৪ সালের পহেলা জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত সুরাহার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। জুলাইয়ের প্রথম দিনটি নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে মূলত শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

 

আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর আজ, কী ঘটেছিল সেদিন

 

এরপর ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে গণপদযাত্রা হয়। ৩ এবং ৪ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ হয়। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইনিভাবে দাবির চূড়ান্ত সুরাহা করার কথা বলা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন