বাংলাদেশে ঢুকে গাছ কাটায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

২ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে গাছ কাটার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কিরণগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনার সূত্রপাত হলেও বিকেলে তা চৌকা সীমান্ত পর্যন্ত (প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে) ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে তিন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে ৫৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, চৌকা ও কিরণগঞ্জ ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্ত পিলার ১৭৭ বরাবর বাংলাদেশের ভেতরে কিছু আমগাছ ছিল। ওই আমগাছ কাটা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন শূন্যরেখা বরাবর দুই দেশের নাগরিকরা দাঁড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয় এবং তারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গাছ কাটছিল বিএসএফ, বাধা দেয়ায় সীমান্তে উত্তেজনা


তিনি আরও জানান, বিকেল চারটা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়। যেখানে এ ঘটনার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি গাছ কাটার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।


বিজিবি কমান্ডার বলেন, ‘এ ঘটনার সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। কেউ যাতে শূন্য রেখা অতিক্রম না করে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিজিবি প্রস্তুত আছে। বিজিবির পাশে দেশপ্রেমিক জনগণও আছেন।’

আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে যে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা


আহতের ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে আহতের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিএসএফের পক্ষ থেকে হতাহতের বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি। তারা (বিএসএফ) উচ্ছৃঙ্খল লোকজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, যেটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালককে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করছি, বিজিবি ও বিএসএফ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে এ ব্যাপারে কথা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন