একশ’র আগেই ৮ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। সেখান থেকে রাসুলি ও মুজিব মিলে দলের রান নিয়ে যান ১৩২-এ। শেষদিকে মুজিব অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৩ রানে। আরেক প্রান্তে ৫ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন বশির আহমেদ।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতেই ২০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ৬ বলে ৭ রান করা ইব্রাহিম জাদরানকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজকে ফেরান নাসুম আহমেদ। শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১২ রান।
পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে উইকেট দিয়ে আসেন ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল। ১৩ বলে ১১ রান এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন ফুয়াদ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন বুলবুল ও ফাহিম
চতুর্থ উইকেটে ছোট্ট একটা জুটি গড়ে তোলেন দারউইশ রাসুলি ও সেদিকুল্লাহ আতাল। সাইফউদ্দিনের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আতাল ফিরলে ভাঙে তাদের ২৫ বলে ৩৪ রানের জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৮ রান।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রিশাদের বলে নুরুল হাসান সোহনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ৩ রান।
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার ফেরত পেলো সেই ১৫ ক্লাব, নির্বাচন করবেন মিঠু
মোহাম্মদ নবিকে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৪ বলে ১ রান করে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর রশিদ খান ও আবদুল্লাহ আমদজাইও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৭ বলে ১২ রান করে সাকিবের বলে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রশিদ। আবদুল্লাহ ফেরেন তার প্রথম বলেই, সাকিবের বলে সাইফুদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষদিকে নবম উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করেন মুজিব উর রহমান ও দারউইশ রাসুলি। ২৯ বলে ৩২ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে ৩ ওভারে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া শরিফুল ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।
]]>