এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ঋণপ্রাপ্তির বাড়তি গতি আনতে বিদেশি ফার্ম নিয়োগ করে ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, বৈশ্বিক নানা সংকটে আশ্বাসের বাণি অনেক সময়ই থমকে যায় বাস্তবে। তারওপর স্বল্পমেয়াদে অন্তরবর্তী সরকার ও দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক সরকারের আর্থিক সক্ষমতা শক্তিশালী করতে সমৃদ্ধ বিনিয়োগ খাত, ব্যবসায়িক সুবিধার রীতিনীতি ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন ব্যবসায়ীদের মাঝে বিশদভাবে উপস্থাপন জরুরি বলছেন তারা।
ম্যাক্সওয়েল স্ট্যাম্প এলএলসির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর্থিক খাতে বিপর্যয়ে রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য কনসাল্ট্যান্ট ফার্ম ছাড়া সম্ভব নয়। যারা অন্যান্য দেশকে সাহায্য করেছে, তেমন এক্সপার্টদের নিয়ে কাজ করতে পারলেই বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।
বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক উন্নয়ন নির্ভর করে নীতিকৌশল ও দুদেশের ভারসাম্যপূর্ণ সহযোগিতায়। বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে লবিস্ট নিয়োগে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিনিয়োগ বোর্ড ও সেন্ট্রাল ব্যাংকের যৌথ পদক্ষেপ নিতে পারে বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
আরও পড়ুন: ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে এইচপি, আস্থা এআইতে!
অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কাদের লবিস্ট নিয়োগ দেবে সেটা অর্থ মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। এক্সটার্নাল রিসোর্সেস ডিভিশন ঠিক করবে। তারা ঠিক করে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে ওকালতি করবে। আমাদের বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে, তারা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমন্বিতভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসঙ্গে হয়ে ঠিক করা উচিত।
লবিস্ট হিসেবে দূতাবাসগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদের।
বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরো জোরদারে রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরি, কর কাঠামো সহজীকরণ, ব্যবসাবান্ধব বাণিজ্যনীতি, অভ্যন্তরিণ পরিবেশ স্বাভাবিক রাখায় গুরুত্ব দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
২





Bengali (BD) ·
English (US) ·