বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, 'এটা শুধু আমাদের নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ের সাফল্য যারা স্বপ্ন দেখতে সাহস করে। বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম আর ঐক্যের মাধ্যমে কী অর্জন করা যায়—এ সাফল্য তার প্রমাণ। তবে এখানেই শেষ নয়, সামনে আরও কঠিন প্রস্তুতি আছে, আমরা তা নিতে প্রস্তুত।'
আফিদার ফুটবলের যাত্রা শুরু হয় তার বাবার হাত ধরে। সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে ফুটবল খেললেও সংসারের দায়ে বাবাকে খেলা ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমাতে হয়েছিল। দেশে ফিরে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় শিশুদের নিয়ে একটি ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলেন। সেই একাডেমির প্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন তার দুই মেয়ে— আফিদা ও তার বড় বোন আফরা। যদিও আফরা পরবর্তীতে বিকেএসপি হয়ে পেশাদার বক্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও পিএফএ'র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়ে সালাহ'র রেকর্ড
ফুটবল শেখার শুরুতে বাবার কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে আফিদা বলেন, 'বাবাই আমার ফুটবল ভালোবাসার প্রেরণা। তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন, মেয়েরাও ছেলেদের মতো ভালো খেলতে পারে, বরং আরও ভালো। মাঠে তিনি ছিলেন কড়া কোচ, কখনোই ছাড় দিতেন না। সেই অনুশাসন আর পরিশ্রমই আজ আমাকে এখানে এনেছে।'
১৮ বছর বয়সি এই অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয়াটা কেবল শুরু। তার চোখে আরও বড় স্বপ্ন। আফিদা বলেন, 'আমি চাই, সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েদের অর্জন সঠিক স্বীকৃতি পাক। তবে এখানেই থামব না। বাংলাদেশ নারী ফুটবল বিশ্বকে দেখাবে আমাদের সামর্থ্য।'
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই সাফল্য তাই কেবল একটি অর্জন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের মেয়েদের জন্য সাহস, আশা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। আর সেই গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন তরুণ অধিনায়ক আফিদা খন্দকার।